কাশ্মীর নিয়ে উদ্বিগ্ন ওআইসি
বিজেপি সরকার কর্তৃক কাশ্মীরের সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। পাশাপাশি কাশ্মীর বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার এক বিবৃতিতে ওআইসির পক্ষ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। খবর জিয়ো নিউজের।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কাশ্মীর বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে ওআইসি মহাসচিব বলেন, জাতিসংঘের নির্ধারিত নীতিমালা মেনে কাশ্মীর বিষয়ে একটি সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।
কাশ্মীরে বিপুলসংখ্যক সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে ওআইসি উদ্বিগ্ন বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।
প্রসঙ্গত, ভারতের সংবিধানের ৩৫-ক ধারা ও ৩৭০ অনুচ্ছেদ কাশ্মীরকে যে মর্যাদা দিয়েছে তা বাতিল করেছে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার।
সোমবার সকালে ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব করেন। সংসদের অনুমোদনের পরই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন।
রাষ্ট্রপতির সইয়ের সঙ্গে সঙ্গেই কাশ্মীরকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেয়া ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত হল। সেই সঙ্গে একটি স্বায়ত্বশাসিত রাজ্যের মর্যাদাও হারাল কাশ্মীর।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৫-ক ধারা অনুযায়ী কাশ্মীরের বাসিন্দা নয়—এমন ভারতীয়দের সম্পদের মালিক হওয়া এবং চাকরি পাওয়ায় বাধা ছিল।
৩৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীরের এমন এক স্বায়ত্তশাসন রয়েছে যা ১৯৪৭ সালের পর দক্ষিণ এশিয়ার আর কোনো দেশের রাজ্য পায়নি।
অনুচ্ছেদ ৩৭০ ভারতীয় রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরকে নিজেদের সংবিধান এবং একটি আলাদা পতাকার স্বাধীনতা দিয়েছে। এ ছাড়া পররাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়াদি, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ বাদে অন্য সব ক্ষেত্রে স্বাধীনতার নিশ্চয়তাও দিয়েছে।
সংসদে ক্ষমতাসীন জোট সোমবার ধারা দুটি বাতিলের যে বিল উত্থাপন করে তা পাস হওয়ায় কাশ্মীরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের দশা এখন ফিলিস্তিন কিংবা মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের মতো হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।