সুপার ওভারের ছক্কা দেখেই মারা যান নিশামের কোচ

টান টান উত্তেজনায় মূল ম্যাচ হয় টাই। নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড উভয়ই থামে ২৪১ রানে। রোমাঞ্চে ভরপুর সুপার ওভারেও একই দৃশ্য। এবার প্রথমে ব্যাট করে ১৫ রান করেন ইংলিশরা। জবাবে সমান রানে থামেন কিউইরা। শেষ পর্যন্ত বাউন্ডারির সংখ্যার হিসাবে নাটকীয়ভাবে শিরোপা জেতে ইংল্যান্ড। স্বপ্নভঙ্গ হয় নিউজিল্যান্ডের।
১৪ জুলাই রোববার ক্রিকেটের তীর্থভূমি লর্ডসে গড়ায় বিশ্বকাপের ফাইনাল। সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ব্যাট করেন মার্টিন গাপটিল ও জিমি নিশাম। আর ইংল্যান্ডের পক্ষে বল করেন জোফরা আর্চার। তার করা দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হাঁকান নিশাম। শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেও এতে প্রাণ সঞ্চারিত হয় কিউইদের ড্রেসিংরুমে।
ঠিক তখনই আরেকটি ট্র্যাজেডির অবতারণা ঘটে। ওই ছক্কা দেখেই মারা যান নিশামের ছোটবেলার শিক্ষক ও কোচ ডেভিড জেমস গর্ডন। কারণ বারুদে ঠাঁসা স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচের শেষটা সহ্য করতে পারেননি তিনি। ওই সময় হাসপাতালে শয্যাশায়ী ছিলেন এ বর্ষীয়ান কোচ।
সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে নিজের ছোটবেলার কোচের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন খোদ নিশাম নিজেই। তিনি লিখেছেন- আমার হাইস্কুল টিচার, কোচ ও একজন ভালো বন্ধু ছিলেন গর্ডন। ক্রিকেটের প্রতি আপনার ভালোবাসা অবিস্মরণীয়। যারা আপনার অধীনে খেলতে পেরেছি, আমি মনে করি, তারা বেশ সৌভাগ্যবান। আশা করি, আপনি গর্ব নিয়ে বিদায় নিতে পেরেছেন। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ। ওপারে শান্তিতে থাকুন।
গর্ডনের মৃত্যুর সঠিক সময় নিশ্চিত করে তার মেয়ে লিওনি বলেন, ওই ওভারের সময় একজন নার্স এসে আমাকে বলেন, বাবার শ্বাস-প্রশ্বাস ওঠানামা করছে। আমি দৌড়ে গেলাম। আপনি বিশ্বাস করবেন কিনা, নিশাম যখন ছক্কা হাঁকায়, ঠিক তখনই বাবা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
অকল্যান্ড হাইস্কুলের টিচার হিসেবে দীর্ঘ ২৫ বছর দায়িত্ব পালন করেন গর্ডন। তিনি শুধু নিশামেরই কোচ ছিলেন না, নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য লকি ফার্গুসনসহ বেশ কয়েকজনকে ক্রিকেটের প্রথম পাঠ দেন এ গুরু।