মেঘনা-তেঁতুলিয়া ২১ দিন ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

ভোলা বার্তা,

প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ সংরক্ষনের লক্ষ্যে ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে ২১ দিনের জন্য ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে। শনিবার দিবগত রাত ১২ টা এ মিনিট থেকে এ নিশেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।
যার ফলে ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত উপকূলীয় জলসীমায়  ইলিশ আহরণ, জাল ফেলা, বিক্রি, সংরক্ষণ ও মজুদ নিষিদ্ধ। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ১ থেকে ২ বছরের কারাদন্ড কিংবা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বিধানও জারী করা হয়েছে। এতে বেকার হয়ে পড়েছে জেলার ২ লাখের অধিক জেলে। তবে বিকল্প কর্মস্থান হিসাবে মৎস্য বিভাগ জেলের জন্য ২০ কেজি করে চাল দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হলেও তার সবার ভাগ্যে জুটবে না। কারন, জেলার এক লাখ ৩২ হাজার জেলের জন্য মাত্র বরাদ্দ এসেছে মাত্র ৮৮ হাজার জেলের। এতে ৪৪ হাজার জেলে ওই চাল থেকে বঞ্চিত হবে। এতে ক্ষোভ আর অষন্তোষ বাড়ছে জেলেদের।
জেলেদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২ মাস আগে ইলিশের ভরা মৌসুমে থাকলেও তখন জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়েনি। গত কয়েকদিন থেকে নদীতে ইলিশ ধরার পর সময়ই চলে এসছে নিষেধাজ্ঞার সময়। ফলে হতাশা দেখা দিয়েছে জেলেদের মাঝে।
মৎস্য বিভাগ জানায়, জেলায় ২ লাখের বেশী মানুষ ইলিশ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। তবে জেলার নিবন্ধিত ১ লাখ ৩২ হাজার ২ শত ৬০জন জেলের মধ্য থেকে ৮৮ হাজার ১শত ১১জন জেলের জন্য বিকল্প কর্মস্থান হিসাবে   চাল বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।
এদিকে জেলেরা যাতে ইলিশ শিকার থেকে এই কয়দিন বিরত থাকে সেজন্য মৎস্য বিভাগ ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা জেলেদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা এবং নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করছে।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আহসান হাবিব খান ও  সদর সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান জানান,  ২১ দিনে  অন্তত ৭০ ভাগ মা মাছ রক্ষা হবে বলে আমরা মনে করছি। এতে করে এ বছর ভোলা জেলায় ১ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ সংগ্রহের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা পূরণ করা সম্ভব হবে।

One comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.