ভোলা-২ আসনে আকাশ চুম্বী জনপ্রিয়তা এম পি মুকুলের

এইচ.এম.মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোলা-২ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় সাংসদ হিসাবে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেতে কিছু ডুমুরের ফুলের মত হয়ে উঠা মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের প্রচার ও পোস্টার ব্যানার শাটাতে দেখা যাচ্ছে, এরা কিসের আশায় এসব করছে মাথায় আসছে না বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক স্হানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দলের বর্তমান এমপি আলী আজম মুকুলকে প্রার্থী হিসেবে চাইছেন আগামী নির্বাচনেও।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন-
“এমপি আলী আজম মুকুল ২০১৪ সাল থেকে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে তৃণমূল আওয়ামিলীগ কে সাথে নিয়ে নিজেকে উজাড় করে জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন । আলী আজম মুকুল ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। দলকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি করেছেন। এ আসনে তার বিকল্প কেউ নেই। আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতা কর্মীরা বিশ্বাস করে মাননীয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার আস্থাবাজন এমপি মুকুল’কেই তৃতীয় বার মনোনয়ন প্রদান করবেন ।”
এ আসনে সোস্যাল মিডিয়ায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন- জাতীয় পার্টির সাবেক মন্ত্রী নাজিউর রহমান মঞ্জুর ছেলে ড. আশিকুর রহমান শান্ত। যিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের মনোনয়নে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী হয়েছিলেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন । তিনিও এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি।এছাড়া রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ সহ কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ হাওলাদার প্রমূখ ।
এছাড়া এ আসনে বিএনপির নেতাকর্মীদের ভরসা সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম। তিনি দীর্ঘদিন এলাকায় আসতে না পারলেও তাকে ঘিরেই দলের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। মামলার কারণে তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। এখনও তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে।
স্থানীয় সাধারণ জনগণের সাথে কথা বলে জানা যায় -এমপি মুকুল একজন মানব দরদী নেতা, তিনি নির্বাচনী এলাকার জনগণকে মা-বাবা, ভাই বোন সর্বোপরি পরিবারের সদস্য ভেবে সেবা দিয়ে থাকেন। তার কাছে দেখা করতে গিয়ে কেউ খালি হাতে ফিরে আসেনি। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মন জয় করে ইতিমধ্যে এমপি মুকুল মানবতার ফেরিওয়ালা নামে পরিচিতি পেয়েছেন । গ্রামের শতাদিক সহজ সরল মানুষের কাছে জানতে চাওয়া হলে -এমপি হিসেবে কাকে চান? এমন প্রশ্নের উত্তরে সমস্বরে সবাই বলে উঠলো- এমপি মুকুল সাবের কাছেই আমরা নিরাপদ, আমরা মুকুল সাবকেই চাই। যদি অন্য কেউ এমপি হইতে চায় মুকুল সাবের জনপ্রিয়তার কাছে হার মেনে যাবে এবং বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হবে।”
এ আসনে ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের জুনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদ, ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির হাফিজ ইব্রাহিম, ২০০৮ সালের নির্বাচনে পুনরায় আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।