বোরহানউদ্দিনে করোনা সংকটে বিপাকে দুগ্ধ খামারিরা

করোনা সংকটে বিপাকে পড়েছেন ভোলা জেলার দুগ্ধ খামারিরা। মহামারি করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারনে হোটেল রেস্তোরাসহ দোকানপাট বন্ধ থাকায় হাটবাজারে দুধ বিক্রি হচ্ছে না । অন্যদিকে দামও কমেছে কেজি প্রতি প্রায় ২০/২৫ টাকা।কিন্তু গোখাদ্যের দাম কমেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন হতাশ খামারিরা।
গো খামারি সাইদুর রহমান বাহার জানান, বর্তমানে দুধের দাম একেবারেই কম হওয়ায় দৈনিক চার হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।গো খামারিদের দুধ বিক্রিএকেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু গো খাদ্যের দাম কমেনি বরং বেড়েছে। ফলে গরুর খাবার জোগান দিতে ধার-কর্জ করতে হচ্ছে।
গরুর খাবার খেসারির ভুষির দাম আগে ছিল প্রতি বস্তা ১৮০০ টাকা । বর্তমানে প্রতি বস্তা ২০০০ টাকা। মুগের ভুষি আগে ছিল ১২০০ টাকা /বস্তা। এখন প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকা। একই অবস্থা একই এলাকার শতাধিক দুগ্ধ খামারির।
খামারিরা জানান, প্রতিদিন একটি খামারে গাভীর খাবার ও পরিচর্যা বাবদ তাদের সর্বনিম্ন ৫/৬ হাজার টাকা লাগে। প্রতিদিনের দুধ বিক্রির টাকা থেকেই এই খরচের জোগান হতো। কিন্তু দুধ বিক্রি না হওয়ায় পুরো টাকাই তাদের ধারকর্জ বা ঋণ করে এনে খরচ করতে হচ্ছে।
গো খামারি ডাঃ সিরাজ বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে বাজারে গোখাদ্য ব্যবসায়ীরা গাভীর প্রতিটি খাবারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন তাদের কঠিন সংকট চলছে। দুধ বিক্রির সুযোগ অথবা গো খাদ্যের দাম কমিয়ে দেয়াসহ সরকারিভাবে খামারিদের সহযোগিতা করার দাবি জানিয়েছেন এই খামারি।
খামারি মোঃ শাহজাদা কাজী জানান, গো দুগ্ধ বিক্রি করা হতো বিভিন্ন হোটেল,রেস্তোরায় কিস্তু দোকানপাট বন্ধ থাকায় এখন দুধ বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে বড় ধরনের ক্ষতির কবলে পড়েছি আমরা।
এ বিষয়ে জানতে বোরহানউদ্দিন প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেনারি কর্মকর্তার অফিসে গিয়ে আজ ২৪ মে সকালে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ঐ অফিসের উপ সহকারি কর্মকর্তা সেলিম খান বলেন, প্রধান মন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনার সহায়তা পাওয়ার জন্য ক্ষতিগ্রস্থ গো এবং দুগ্ধ খামারিদের একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে। এখনো কোনো বরাদ্দ আসেনি।