গুজবের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছেন তথ্যমন্ত্রী।।

গণমাধ্যম নয়, সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তাই গুজবের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বুধবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গুজব নিরসন-সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যম নয়, সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে। সুতরাং এর বিরুদ্ধে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। সেজন্য গুজবের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাই। সামাজিক মাধ্যমে কেউ মিথ্যা পোস্ট দিলে সেখানেই তার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে হবে। তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই গুজব নিরসন সম্ভব হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যারা গুজব ছড়াচ্ছে, বিশেষ করে যারা প্রাণঘাতী গুজব ছড়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির মাত্রাটা বেশি হওয়া প্রয়োজন। দেশবাসীর সহযোগিতায় সম্প্রতি অনেক গুজব নিরসন সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ গুজব ছড়ালে তাদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে।’
সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে গুজব ছড়ানো হচ্ছে এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রথমত বিদেশ থেকে সামাজিক মাধ্যমে গুজবের পোস্ট দেয়া হয়। তারা ফেক আইডি ব্যবহার করে এ কাজ করে। সে কারণে অনেক ক্ষেত্রেই তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয় না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ ব্যাপরে ইউকে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কথা বলেছি। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যারা সার্ভিস প্রোভাইডার তাদেরও দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে আইন এবং নীতিমালা (পশ্চিমা বিশ্ব) রয়েছে। আমরাও বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করছি। যেমন- ফেসবুকের মাধ্যমে কেউ গুজব ছড়ালে সেক্ষেত্রে ফেসবুকেরও দায়বদ্ধতা রয়েছে। এসব গুজব নিরসনে ফেসুবককেও সম্পৃক্ত করতে চাই। ইউরোপ-আমেরিকা এগুলো নিরসনে যেভাবে কাজ করছে আমরাও সেভাবে কাজ করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের অনুমোদন নিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্প শেষ করতে এক লাখ শিশু বলি দিতে হবে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার উদ্দেশ্যেই সেই পোস্টটি দেয়া হয়েছিল। সেটি পরিকল্পিতভাবে একটি মহল সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়। ফলে ছেলে ধরা আতঙ্ক তৈরি হয়। ছেলেধরা আতঙ্কে অনেক জায়গায় কিছু দুষ্কৃতকারী আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। সেগুলোর ব্যাপারে হত্যা মামলা হয়েছে। এরা সবাই হত্যা মামলার আসামি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের পদক্ষেপের ফলে সেই গুজব নিরসনের কয়েক দিন পর আরও একটি গুজব বিদ্যুৎ থাকবে না, তখন ছেলেধরা আসবে।’ সেই গুজব যখন জনগণকে বুঝাতে সামর্থ্য হয়েছি তখন আর একটি গুজব ছাড়ানো হয়েছে বেসিনে হারপিকসহ অন্য কেমিক্যাল ঢেলে মশা নিধন হবে। এটিও গুজব। সবার সহযোগিতায় আমরা এ গুজব নিরসন করতে সক্ষম হয়েছি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এরপরও নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। একটি মহল সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে গুজব ছড়াচ্ছে। সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে এ ধরনের গুজব ছড়ানোর সমস্যা শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও রয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.