তজুমদ্দিনে ভাঙ্গনের কবলে বেড়িবাঁধ ॥ বর্ষার আগেই নির্মাণের দাবী

নিজস্ব প্রতিনিধি, তজুমদ্দিন ॥

ভোলার তজুমদ্দিনে মেঘনা নদীর ভাঙ্গন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে সাত কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। যাতায়াত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তজুমদ্দিন টু মঙ্গলশিকদার সড়ক। দূর্ভোগে পড়েছে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীসহ দুই ইউনিয়নের বাসিন্দা। বর্ষা মৌসুমের আগেই জোয়ারের পানি ডুকে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে বাড়িঘরসহ ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা করছে এলাকাবাসী। পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ না করায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে।
শুক্রবার সরেজমিন উপজেলার দড়িচাঁদপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মহাজন বাড়ী ও কাঞ্চনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন দুটি পয়েন্টে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত বেড়ীবাঁধ ভাঙ্গনের কবলে পড়ে হুমকির মুখে পড়েছে ওই এলাকার বাসীন্দারা। প্রবল ¯্রােতে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের কারণে ওইসব এলাকায় বসবাসকারী, মৎস্যচাষী ও কৃষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে উপজেলা সদরের সাথে গুরিন্দাবাজার, চাঁচড়া কাটাখালী ও মঙ্গলশিকদারসহ কয়েকটি সড়কের। ভাঙ্গনের কবলে পড়ে সাত কিঃ মিঃ বেড়ীবাঁধসহ হুমকির মুখে পড়েছে কেয়ামূল্যাহ মীর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাঞ্চনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর চাঁচড়া মোমিনুদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাঁচড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, চাঁচড়া রহমানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এছাড়া ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় বেড়িবাঁধ না থাকায় যে কোন মূহুর্তে জোয়ারের পানি ডুকে রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। যে কারণে দূর্ভোগে পড়েছে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীসহ দুই ইউনিয়নের বাসিন্দা। বর্ষা মৌসুমের আগেই পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী। চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল আলম জাহাঙ্গীর বলেন, প্রতি বছর জোয়ারের পানি ডুকে প্লাবিত হওয়ার পর পানি উন্নয়ন বোডের লোকজন আসে। আগে তাদেরকে বারবার বলা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেয়া হয়না। যে কারনে সময় মতো কাজ না হওয়ায় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি মানুষের ক্ষোভ সৃস্টি হয়।
তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রশান্ত কুমার দাস বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বেড়ীবাঁধ ভাঙ্গনের ব্যাপারে জানানো হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ নির্বাহী প্রকৌশলী কাইসার আলম বলেন, জোয়ারের পানি বন্ধ করার জন্য ইমার্জেন্সী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তজুমদ্দিনে সাড়ে ৩ কিঃমিঃ পূর্ণাঙ্গ বেড়ীবাঁধ নির্মানের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.