তজুমদ্দিনে খোলা বারান্দায় পাঠদান

ভোলার তজুমদ্দিনে “পশ্চিম চাঁদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়” এর ভবন সংকটের কারণে প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাম চলছে খোলা বারান্দায়। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে ১৮৯জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
বিদ্যালয়টি তজুমদ্দিন ডাওরী সড়কের পাশে হওয়ায় যান-বাহনের শব্দে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা একদিকে পাচ্ছেনা শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ। অন্যদিকে সড়কের ধুলা-বালিতে নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পোশাক ও বই খাতা। ২০০৩ সালের ডিজাইন অনুযায়ী ৪ কক্ষ বিশিষ্ট একতলা একটি ভবন থাকলেও এর একটি রুম পুরোপুরি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ইতিমধ্যে। অন্য একটি রুমের মধ্যে চলে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাশ ও অফিস রুমের কাজ।
যার ফলে অফিস রুমের মধ্যেসহ প্রথম শিফ্টে ৩টি ক্লাশ রুমের মধ্যে নিলেও প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাশটি শিক্ষকদের করতে হচ্ছে খোলা বারান্দার মধ্যে। স্কুলটি ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠা হলেও জাতীয়করণ হয় ২০১৩ সালে। জাতীয়করণের পর থেকে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি চালু হওয়ার পর থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে
স্কুলের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থী সিয়াম, মোঃ তাহিম, পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া, তানিয়া, ফেরদৌস ও স্বীকৃতি রাণী জানান, ‘আমাদের বিদ্যালয়ের রুম সংকটের কারণে খোলা বারান্দায় ক্লাশ করার ফলে ধূলায় আমার পোশাক ও বই খাতা নষ্ট হয়ে যায়। আমরা শিক্ষার্থী হিসেবে এ অবস্থা থেকে মুক্তি চাই।’
প্রধান শিক্ষক বিপ্লব চন্দ্র দাস বলেন, ২০১৫ সালে যোগদানের পর থেকে স্কুলের নতুন ভবনের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এখনো পাইনাই তবে পাবো আশা আছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আতিকুল ইসলাম জানান, ২০০৩ সালের ডিজাইন অনুযায়ী বর্তমান ভবনটি করা হয়েছে। নতুন ভবনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত একটি ভবন পাবে ওই স্কুল।