পৌর মেয়রের উদ্যোগে ভোলা খাল খনন কাজ শুরু

ভোলা পৌর এলকায় দিন দিন বদলে যাচ্ছে শহরের দৃশ্যপট ।এই শহরের প্রাণ ছিলো ভোলার খাল নান্দনিক ভাবে সাজানো হচ্ছে পৌর শহরকে। পৌরবাসীর র্দীঘ দিনের দাবীর প্রেক্ষিতে অবশেষে শুরু হয়েছে ভোলার প্রাণ ভোলা খালের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার কাজ। এতে করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব রাখবে বলে মনে করছে এলাকাবাসী। ভোলা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিমউদ্দিন আরজু জানান শুধু খাল খননই নয় উপকূলীয় শহর পরিবেশগত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকাবাসীর নাগরিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতিমধ্যে নির্মান করা হয়েছে রাস্তা,ব্রীজ,সাইক্লোন সেল্টারসহ নানা ধরনের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ।
৩১.৪৮ বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে গঠিত ভোলা পৌরসভা,লক্ষাধিক লোক বসবাস এই প্রথম শ্রেণীর পৌরসভায় । ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যসামগ্রী আনা নেয়া করতো এই খাল দিয়ে। এই খালের দুই মাথা মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর সাথে মিশে যাওয়া এলাকার কৃষকের পানি নিষ্কাশনের অন্যত মাধ্যম ছিলো। কিন্তু এই খালটি বছরের পর বছর ধরে সংস্কার না করায় ও ময়লা আর্বজনা ফেলায় মৃত খালে পরিনত হয়। এতে করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিরুপ প্রভাব পড়ে। অবশেষে ভোলা পৌর মেয়র মনিরুজ্জামানের উদ্দ্যোগে খাল খনন কাজ শুরু হয় এবং খালের দুই পাড়ে দৃষ্টি নন্দন ওয়ার্কওয়ে নির্মান কাজ শুরু হয়েছে।
ভোলা পৌরসভার পর পর ২ বার নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, ভোলার অভিবাবক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের প্রচেষ্টার ভোলার খাল খননের উদ্দ্যোগ নেয়া হয়েছে। যা ইতি পূর্বে কেউ উদ্দ্যোগ নিতে পারেনি। তিনি বলেন, ভোলা খালের পাড়ে হাতির ঝিলের মতো ওয়ার্কওয়ে,ওয়াশ রুম, শিশুদের খেলার রাইডসহ দৃষ্টি নন্দন করা হবে। তিনি এই খালকে রক্ষার জন্য পৌরবাসীর প্রতি আহবান জানান। তিনি আরো বলেন,খালে ভিতরে যাতে কেউ টয়লেটের পাইপ লাইন না দেয়,দোকান ও ক্লিানিকের ময়লা বর্জ্যপদার্থ না ফেলে। যদি কেউ এ ধরনের ময়লা ফেলে তা হলে ৫০ হাজার টাকা জড়িমানা করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ্য করেন।
ভোলা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন আরজু জানান, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে উপকূলীয় শহর পরিবেশগত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ভোলা পৌর এলাকায় উন্নয়ন মূলক কাজ শুরু হয়। পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ২৭.২ কিলোমিটার পাকা ড্রেন,৩টি ব্রীজ,২টি সাইক্লোন সেল্টার,১৩ কিলোমিটার রাস্তা নির্মান করা হয়। বালিয়া কান্দি এলাকায় ১.৪ কিলেমিটার,চরজংগলা এলাকায় ২.৪ কিলোমিটার ও আলীনগর সংলগ্ন এলাকায় ৩.২ কিলোমিটার খাল খনন করা হয়। বর্তমানে চর জংলা ও বালিয়া কান্দি খাল পাড়ে ওর্য়াক ওয়ে নির্মান হচ্ছে। এছাড়াও গত ২ সপ্তাহ আগে ভোলা হাসপাতালের পিছন থেকে শুরু করে ভোলা খাল হয়ে ৪.৭৩ কিলোমিটার পর্যন্ত খনন কাজ চলছে। মোট ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ’র খাল খননে মোট ব্যয় হচ্ছে ৪১ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা।