ভিটামিন-এ ক্যাম্পেইন স্থগিতঃ ভারতীয় কোম্পানির ক্যাপসুল কিনতে বাধ্য হয় সরকার

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেছেন, ভারতীয় কোম্পানির সরবরাহ করা নিম্নমানের লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুলগুলো নষ্ট থাকায় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন সারা দেশে স্থগিত করা হয়েছে। খুব শিগগিরই ভালো ক্যাপসুল সংগ্রহ করা হবে এবং নতুন তারিখ ঘোষণা করে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

আজ শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে নবনিযুক্ত স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান কিশোরগঞ্জে আসেন। পরে তিনি সার্কিট হাউজে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুলের নমুনা পর্যবেক্ষণ ও মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান প্রতিমন্ত্রীকে লাল ও নীল রঙের ট্যাবলেটগুলোর নমুনা দেখান।

আগামীকাল দেশব্যাপী ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন হওয়ার কথা ছিল। এই কর্মসূচিতে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সব শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে একটি করে লাল রঙের ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল। কিন্তু দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লাল রঙের ক্যাপসুলে সমস্যা দেখতে পাওয়ায় কর্মসূচি স্থগিত করে সরকার।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, এ ক্যাপসুল কেনার কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৬ সালে। প্রথমে একটি দেশি ওষুধ কোম্পানি সরবরাহের কার্যাদেশ পেয়েছিল। কিন্তু ওই কার্যাদেশের বিরুদ্ধে আদালতে যায় অ্যাজটেক নামে ভারতের একটি কোম্পানি। আদালত ওই ভারতীয় কোম্পানিকে সরবরাহের কাজ দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর লাল রঙের এ ক্যাপসুল সরবরাহ করে অ্যাজটেক। আর নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুলগুলো বাংলাদেশের কোম্পানি সরবরাহ করেছিল। নীল রঙের ক্যাপসুলগুলোর মান ভালো রয়েছে। কিন্তু ভারতীয় কোম্পানির সরবরাহ করা লাল ক্যাপসুল কৌটার সঙ্গে লেগে আছে, আলাদা করা যাচ্ছে না। এখন ক্যাপসুলের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ক্যাপসুলের মান পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ভারতীয় কোম্পানিকে কাজটি দিতে চাইনি। তারা মামলা করায় সরকার তাদের কাজটি দিতে বাধ্য হয়েছিল। মামলা করে নিম্নমানের ওই ক্যাপসুল কিনতে বাধ্য করা হয়েছে।

এ সময় জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজাল, জেলা বিএমএ সভাপতি ডা. মাহবুব ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক ডা. আবদুল ওয়াহাব বাদল, কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. রাজিয়া সুলতানা, জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের সভাপতি ডা. দীন মোহাম্মদসহ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.